কেন আপনি আমাদের পরিসেবা গ্রহন করবেন?

কারন আমরা দিচ্ছি সুপার সিকিউর এবং সহজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। কেননা এখানে রয়েছে-



বাংলা/ইংলিশ
দুটি ভাষায় ব্যবহার করার সুযোগ


সহজ ও নিরাপদ
ডাটা সংরক্ষন সিস্টেম


মেসেজিং সিস্টেম
গার্ডিয়ানকে সহজে বার্তা প্রেরন

ব্যবহার রেসপন্সিভ
কম্পিউটার ও মোবাইলে ব্যবহার

সাপোর্ট ২৪/৭
ই-মেইল সাপোর্টিং সিস্টেম


কাস্টমাইজেশন
আলোচনা সাপেক্ষে চাহিদা পূরণ



বিদ্যাপীঠ স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

বিদ্যাপীঠ স্কুল ম্যানেজমেন্ট হলো এমন একটি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার যা স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও শিক্ষানৈতিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই সফটওয়্যারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ও অভিভাবকদের সাথে তাদের কাজ সহায়ক করতে সাহায্য করে।

উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-

  • শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ডেটা ম্যানেজমেন্ট।
  • ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট।
  • প্রশাসনিক কাজ।
  • শিক্ষানৈতিক সাপোর্ট।
  • ডিজিটাল হাজিরা

অটোমেটিক জেনারেট

  • স্টুডেন্ট কার্ড।
  • এ্যাডমিড কার্ড।
  • রেজাল্ট শিট।
  • পেমেন্ট ইনভয়েস।
  • SMS সেন্ড।
বিদ্যাপীঠ শিক্ষা নেটওয়ার্ক

বিদ্যাপীঠ মানেই জ্ঞান আহরন ও বিতরণের একটি সুন্দর ও সামাজিক প্লাটফর্ম। এখানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একই সাথে একই প্লাটফর্মে যুক্ত থেকে জানা বিষয় প্রকাশ ও অজানা বিষয়কে জানতে পারে, এক্ষেত্রে বিদ্যাপীঠ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

সুবিধা সমূহ-

  • অজানা বিশ্বের সাথে পরিচিত হওয়া।
  • PDF বইয়ের সমাহার।
  • শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য।
  • বিষয় ভিত্তিক সমাধান।
  • আরো অন্যান্য।

এখানে যুক্ত হতে যা প্রয়োজন-

  • ই-মেইল ও মোবাইল নাম্বার।
  • NID বা Birth Certificate.
  • সদ্য তোলা ছবি।
  • বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা।
  • নারী পুরুষ সবার জন্য।

সাম্প্রতিক পোস্ট


মাথার পাশে ভুলেও মোবাইল চার্জে দিয়ে ঘুমাবেন না ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৩

ভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা। আর তারপর তা চার্জে বসিয়ে ঠিক মাথার পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়া। এ স্বভাব অনেকেরই আছে। কিন্তু এই অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। ইউজারদের এবার এ নিয়েই সতর্ক করল অ্যাপেল। 

অ্যাপেলের তরফ থেকে এবার অনলাইন ইউজার গাইডে এ নিয়ে সতর্ক করা হবে। মার্কিন সংস্থাটির দাবি, বর্তমানে রাত জেগে মোবাইলে অনলাইন গেম খেলা কিংবা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দেখার প্রবণতা বাড়ছে। যার জেরে মোবাইলের ব্যাটারিও দ্রুত কমতে থাকে। সমাধান হিসেবে তাই স্মার্টফোনটি চার্জ করতে করতেই হাতে ফোন ধরে থাকেন। আর অনেক সময় সেভাবেই মোবাইল হাতে ঘুমিয়ে পড়েন। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

অ্যাপেলের তরফ থেকে বলা হয়, মোবাইল চার্জে দিয়ে কোনো সমতল স্থানে রাখা

উচিত। যেমন টেবিল কিংবা আলমারির মাথা। কম্বল, বালিশ কিংবা আপনার শরীরের ওপর রেখে চার্জ করা একেবারেই সঠিক পদ্ধতি নয়।

ইউজার গাইডে আরো বলা হয়েছে, আইফোন চার্জ হওয়ার সময়, তা থেকে তাপ নির্গত হয়। যে কারণে সঠিক পরিবেশ ও খোলা জায়গা না পেলে তাতে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একই কারণে ফোন চার্জে বসিয়ে বালিশের নিচে চাপা রেখে দেয়ার বিষয়টিও অত্যন্ত বিপজ্জনক।

এমনিতেই টেক কোম্পানিগুলি সতর্ক করে জানিয়ে দেয় যে পাওয়ার ব্যাংক, ওয়্যারলেস চার্জার কিংবা মোবাইলের মতো ডিভাইসের ওপর শুয়ে পড়বেন না। পাশাপাশি কম্বল, বালিশের নিচেও এই ধরনের ডিভাইস রাখবেন না। এতে শরীরের যেমন ক্ষতি হয় না, তেমনই ব্যাটারি পুড়ে যাওয়া কিংবা ডিভাইসে আগুন লাগার ঝুঁকিও এড়ানো যায়।

নিস্বার্থ প্রকৃতির মায়াবী রূপ- ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৩

জন্মের পর তোমার মায়ের আর প্রকৃতির সাথে এমন একটা সম্পর্ক থাকবে যা তোমাকে নিস্বার্থভাবে পথ চলতে শেখাবে। প্রত্যকেই প্রকৃতি আর মায়ের সাথে আত্মিকভাবে জড়িত। যারা এই সম্পর্কটাকে বোঝে তারাই জানে নিজেকে কোথায় স্থাপন করলে জীবনের সফলতা আর শান্তি বজায় থাকে। কখনো তোমার কিছু চাইতে হবে না, যদি তুমি নিজেকে ভেতর থেকে সচ্ছ প্রকৃতির মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারো।

যখন তুমি সবকিছু থেকে হারতে থাকবে তখন ভেতর থেকে নিজেকে শক্ত রাখবা। কারন তোমার জীবনের সবকিছুই ক্ষণিকের। হয়তো এই হেরে যাওয়া তোমাকে অসম্ভব কষ্ট দেবে। কিন্তু এইটাই সেই সময় যখন নিজেকে শক্ত রাখতে পারলে জীবন সুন্দর। তোমার সবচেয়ে দুর্বল মূহূর্তগুলোতে নিজেকে নিরব প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দিবা। দেখবা প্রকৃতি তোমাকে ভালোবেসে আপন করে নেবে। মানুষ তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বেশি সময় নিবে না। কিন্তু প্রকৃতির মাঝে একবার নিজের ভালোবাসা বিলীন করলে, তোমাকে জীবনের শেষ অবধি প্রকৃতি নিজের মায়ায়

জরিয়ে রাখবে।

মানুষ তার এক চেহারায় হাজার রূপ দেখায় যায়। কিন্তু প্রকৃতি তার হাজার রূপের মধ্যেও তোমাকে একভাবে আপন করে যাবে। যদি তুমি প্রকৃতিকে বুঝতে পারো, তাহলে কোনো কিছুর জন্য তোমার নিজেকে থামিয়ে রাখার প্রয়োজন হবে না। মানুষ তোমাকে পেঁছোতে বাধ্য করবে আর প্রকৃতি তোমাকে চলতে শেখাবে। এখন সিদ্ধান্ত তোমার। অল্প সময়ের জীবনে চাওয়ার পরিমান বেশি হওয়ায় সামান্য জিনিসটা পেতেও প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত সময় লেগে যায়। এইজন্য জীবনে নিজেকে জেতাতে নয় অর্জন করতে শেখাও। তাহলে না পাওয়া জিনিসটাও একসময় তোমার হয়ে যাবে।

তুমি তোমার জন্য নিজেকে রাখো, পুরো পৃথিবী তখন তোমার। যেকোনো মোহকে একবার ত্যাগ করে দেখো বাস্তবতা তোমার। অল্প সময়ের পৃথিবীতে একবার সৎ হয়ে দেখো পুরো পরিস্থিতি তোমার। নিজে নিজের ভরসা হও, হেরে গেলেও উঠে দাঁড়ানোর শক্তি পাবা। না পাওয়ার শব্দটা জীবন থেকে মুছে দেখো, তখন পাওয়ার অভাব হবে না। পেতে শুরু করলে নিজেকে স্বাভাবিক রেখো কোনো কিছু হারিয়ে যাবে না।

নিখুঁত চিন্তার চেয়ে নিজেকে নির্ভুল রাখা উত্তম- ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রত্যেকের সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তার চরিত্রে। কারণ একটা ব্যক্তির চরিত্রই তার প্রত্যেকটা দিক নিয়ন্ত্রণ করে। কাউকে বুঝতে সময় লাগে না, যখন তুমি নিজের কাছে সহজ। তাই কোনো কিছু প্রকাশ না করেও এই বিষয়গুলো সহজে অনুধাবন করা যায়। কেউ হয়তো কাউকে বুঝতে পছন্দ করে না। কিন্তু কারোর প্রতি কেউ আগ্রহ দেখালে তখন বিষয়টা তার কাছে অপ্রকাশ্যে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। যা তাকে প্রত্যেকটা মূহুর্তে তার প্রতি তাকে অনুভব করাতে থাকে। এইভাবেই হয়তো ভালোলাগার শুরু হয়। যা সেই ব্যক্তিকে পরিবর্তন করতে বেশি সময় নেয় না, যে প্রথমে গুরুত্ব দিয়েছিল। শুরুর গুরুত্ব কাউকে সহজে সবকিছু ভোলায়। তবে ভুলে যাওয়া ব্যক্তির হঠাৎ উদ্ভব তাকে ততটাই দ্বিধাগ্রস্ত করে। যা হয়তো সে কখনোই চাইতো না। কিন্তু সময়টাই এমন যে, সে না চাইলেও অনুভব করতে বাধ্য। তাই কোনো কিছুর প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আগে ভেবে নেওয়া উচিত। যাতে কাউকে দ্বিধাগ্রস্ত না হতে হয়।

​​​​​​কেউ হয়তো কখনো ভাবতে পারে যে, তুমি তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু সবসময় তোমাকে এইটা মাথায় রাখতে হবে যে, সবার প্রথমে তুমি নিজের জন্য। তারপর নিরাপত্তামূলক পরিবার। কারণ এই দুইটা বিষয় বাদে সবকিছুই মোহ। যা ক্ষণিকের পৃথিবী তোমার সামনে উপস্থাপন করবে। কিন্তু পরবর্তীর বাস্তবতা তোমাকে খুঁজে নিতে হবে নিজের জন্য। না

হলে তৈরিকৃত পৃথিবীর অনুভব তোমাকে যেকোনো কিছুর প্রতি সময়ের সাথে কঠিন করতে থাকবে। কঠিনের মাঝে অনুশোচনার ভার কাউকে মৃতপ্রায় অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখে। মানুষ হয়ে জন্ম নিলে পৃথিবীর যে কোনো কিছুর তুলনায় যেমন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করা যায়। তেমনি সময়ের সাথে নিজের সঠিক বোধশক্তির উদ্ভব না করতে পারলে, কারোর মধ্যে পৃথিবীর উদ্বৃত্ত জিনিস মতো অনুভব হতে থাকে নিজের কাছে।

সময় নিরপেক্ষ হওয়ায় প্রত্যেকের জন্যই সমান এবং নির্ধারিত। কিন্তু মানুষের জীবনের কিছু নির্ধারিত জিনিস না চাইতেও তাকে কিছু সময় বিব্রত করে থমকে দেয়। যে সময়টা কাউকে দুর্বলতার মাঝে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠত্ব অনুভব করায়। যা কারোর পুরোনো দিনকে পেছনে ফেলে নতুন শুরুর উদ্ভব হতে সহায়তা করে। তখন কারোর সরাসরি পরিবর্তিত রূপ অপ্রকাশিত থাকায় তার ভিতরে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন করে। যেজন্য সময়ের সাথে মানুষের স্বভাব পরিবর্তন হয়। আর বিবেচনার ভিত্তিতে ব্যক্তিত্ব মজবুত হয়। মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে অনুভব। যা কাউকে আত্মবিশ্বাসী বা দুর্বল করে থাকে। সময়ের সাথে ব্যবহৃত বিষয়টার রূপ জীবনে প্রকাশিত হয়। যেজন্য কিছু বিষয় আমরা চাইলেও এড়াতে পারি না।

সময়ের সাথে এড়িয়ে যাওয়া বিষয়গুলোর ফিরে আসা যেমন অস্বাভাবিক। তেমনি কিছু বিষয়ের নির্ধারিত সফলতার অপ্রত্যাশিত ব্যার্থতা কাউকে পরবর্তীর সত্যতা অনুভব করায়। যা বাস্তবতা নামে প্রত্যেকের জীবনের প্রত্যাশিত রূপ।

শুরু থেকে শেষের অপেক্ষায় থাকা জীবন- ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৩

হালকা আলোয় জ্বলতে থাকা বাতিটাও একসময় ফুরিয়ে আসে সময়ের সাথে। দিনের উজ্জ্বল সূর্যটাও নিজেকে পরিবর্তন করে সময়ের সাথে। প্রকৃতিও ঋতু অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় সময়ের সাথে। শুধুমাত্র মানুষই আটকে যায় ভালো থাকার কারণ খুঁজে না পেলে। পৃথিবীর সবকিছুই মানুষের জন্য। যার কারণে মানুষ হালকা না পাওয়ায়ও নিজেদের হার খুঁজে পায়। প্রত্যেকটা মানুষের শুরুর পথচলায় ধারাবাহিকতা থাকলেও একটা সময় এর ব্যাঘাত ঘটে। যখন কেউ তার নিজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে পারে। কারোর জীবনে কিছুর অতিরিক্ততা যখন তাকে আটকে রাখে। তখন নিজের প্রতি এই বিষয়টার চাপ তাকে দূরে সরিয়ে নেয় সেই পরিস্থিতি থেকে।

কোনোকিছু বলেও যখন বোঝানো সম্ভব হয় না। তখন সেই বিষয়টা নিজের গতিতে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। কারণ যখনই যেকোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়। তখন তা ঠিক হওয়ার জায়গায় বেশি বিগড়াতে থাকে। এইজন্য যেকোনো কিছুর জন্য সবচেয়ে বড় সমাধান হচ্ছে সময় দেওয়া। কারণ সময়, একসময়ের করা ভুল থেকে কাউকে ভিতর থেকে অনুতাপ অনুভব করার। যা তাকে অল্পতে

শান্ত করে নিজের ভুল বুঝতে শেখায়। জীবনে কিছুর কমতি যেমন না পাওয়া অনুভব করা শেখায়। তেমনি জীবনে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পাওয়া, কাউকে নিজের মূল্যবোধ হারিয়ে সবকিছু প্রতি গুরুত্বহীনতা অনুভব করা শেখায়। যা তাকে প্রাচুর্যের মধ্যে রাখলেও কখনোই আত্মিক শান্তি দেয়না।

ভালো খারাপের পার্থক্য করলে জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় কিছু সময়। কারণ পার্থক্য মানুষকে বিবেকহীনভাবে ভাবায়। যা সবকিছু থেকে তার দুরত্ব বাড়াতে বাড়াতে একসময় তাকে একা করে দেয়। একান্তে সর্বজয় সম্ভব। আর একাকিত্বে অন্ধকার জীবনের শিকার হতে হয়। ভুল বোঝার চেয়ে ভুল জিনিসগুলো ত্যাগ করা ভালো। হাজার সমস্যায় নিজেকে একা রাখা ভালো। কোনো কিছুর অতিরিক্ত আশা করার চেয়ে নিজের প্রতি ভরসা রাখা ভালো। ভয়ে সবকিছু থেকে পালানোর চেয়ে যেকোনো কিছুতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া ভালো। কারণ মানুষ সময়ের অপেক্ষা করে। আর সময় সবকিছুর পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। এইজন্য শেষের মাঝেও সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

কোনো কিছুই সময়ের উপর নির্ভর করে না। তোমার সবকিছুই তোমার উপর নির্ভর করে। সময় শুধু যেকোনো কিছু পরিচালনায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।

পৃথিবীর পরিচয়, এখানে জীবনের আবির্ভাব ও বিবর্তন- ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য হতে এটির দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কি.মি। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম "বিশ্ব" বা "নীলগ্রহ"। ইংরেজি ভাষায় পরিচিত আর্থ (Earth) নামে, গ্রিক ভাষায় পরিচিত গাইয়া (Gaia) নামে, লাতিন ভাষায় এই গ্রহের নাম "টেরা (Terra)।

পৃথিবী মূলত কী?
পৃথিবী হলো মানুষ সহ কোটি কোটি প্রজাতির আবাসস্থল। পৃথিবী এখন পর্যন্ত পাওয়া একমাত্র মহাজাগতিক স্থান যেখানে প্রাণের অস্তিত্বের কথা বিদিত। ৪৫৪ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠিত হয়েছিল। এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে প্রাণের আবির্ভাব ঘটে। পৃথিবীর জীবমণ্ডল এই গ্রহের বায়ুমণ্ডল ও অন্যান্য অজৈবিক অবস্থাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে একদিকে যেমন বায়ুজীবী জীবজগতের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে, অন্যদিকে তেমনি ওজন স্তর গঠিত হয়েছে। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে একযোগে এই ওজোন স্তরই ক্ষতিকর সৌর বিকিরণের গতিরোধ করে গ্রহের বুকে প্রাণের বিকাশ ঘটার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে। পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ও কক্ষপথ এই যুগে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আরও ৫০ কোটি বছর পৃথিবী প্রাণধারণের সহায়ক অবস্থায় থাকবে।

পৃথিবীর উপরিতল একাধিক শক্ত স্তরে বিভক্ত। এগুলিকে ভূত্বকীয় পাত বলা হয়। কোটি কোটি বছর ধরে এগুলি পৃথিবীর উপরিতলে এসে জমা হয়েছে। পৃথিবীতলের প্রায় ৭১% লবণাক্ত জলের মহাসাগর দ্বারা আবৃত। অবশিষ্টাংশ গঠিত হয়েছে মহাদেশ ও অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে। স্থলভাগেও রয়েছে অজস্র হ্রদ ও জলের অন্যান্য উৎস। এগুলি নিয়েই গঠিত হয়েছে বিশ্বের জলভাগ। জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় তরল জল এই গ্রহের ভূত্বকের কোথাও সমভার অবস্থায় পাওয়া যায় না। পৃথিবীর মেরুদ্বয় সর্বদা অ্যান্টার্কটিক বরফের চাদরের কঠিন বরফ বা আর্কটিক বরফের টুপির সামুদ্রিক বরফে আবৃত থাকে। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ সর্বদা ক্রিয়াশীল। এই অংশ গঠিত হয়েছে একটি আপেক্ষিকভাবে শক্ত ম্যান্টেলের মোটা স্তর, একটি তরল বহিঃকেন্দ্র (যা একটি চৌম্বকক্ষেত্র গঠন করে) এবং একটি শক্ত লৌহ আন্তঃকেন্দ্র নিয়ে গঠিত।

মহাবিশ্বের অন্যান্য বস্তুর সঙ্গে পৃথিবীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বিশেষ করে সূর্য ও চাঁদের সঙ্গে এই গ্রহের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে পৃথিবী নিজ কক্ষপথে মোটামুটি ৩৬৫.২৬ সৌর দিনে বা এক নক্ষত্র বর্ষে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী নিজ অক্ষের ৬৬.১/২ ডিগ্রি কোণে হেলে রয়েছে। এর ফলে এক বিষুবীয় বছর (৩৬৫.২৪ সৌরদিন) সময়কালের মধ্যে এই বিশ্বের বুকে ঋতুপরিবর্তন ঘটে থাকে। পৃথিবীর একমাত্র বিদিত প্রাকৃতিক উপগ্রহ হল চাঁদ। ৪.৩৫ বিলিয়ন বছর আগে চাঁদ পৃথিবী প্রদক্ষিণ শুরু করেছিল। চাঁদের গতির ফলেই পৃথিবীতে সামুদ্রিক জোয়ারভাঁটা হয় এবং পৃথিবীর কক্ষের ঢাল সুস্থিত থাকে। চাঁদের গতিই ধীরে ধীরে পৃথিবীর গতিকে কমিয়ে আনছে। ৩.৮ বিলিয়ন থেকে ৪.১ বিলিয়ন বছরের মধ্যবর্তী সময়ে পরবর্তী মহাসংঘর্ষের সময় একাধিক গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে গ্রহের উপরিতলের পরিবেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল।

গ্রহের খনিজ সম্পদ ও জৈব সম্পদ উভয়ই মানবজাতির জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। এই গ্রহের অধিবাসীরা প্রায় ২০০টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে সমগ্র গ্রহটিকে বিভক্ত করে বসবাস করছে। এই সকল রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক কূটনৈতিক, পর্যটন, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক বিদ্যমান। মানব সংস্কৃতি গ্রহ সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণার জন্মদাতা। এই সব ধারণার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীকে দেবতা রূপে কল্পনা, সমতল বিশ্ব কল্পনা এবং পৃথিবীকে মহাবিশ্বের কেন্দ্ররূপে কল্পনা। এছাড়া একটি সুসংহত পরিবেশ রূপে বিশ্বকে কল্পনা করার আধুনিক প্রবণতাও লক্ষিত হয়। এই ধারণাটি বর্তমানে প্রাধান্য অর্জন করেছে।

কপিরাইট
বিদ্যাপীঠ ২০২৩-২০২৬ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
ডিজাইনেঃ বিদ্যাপীঠ ডেভেলপার'স
আমাদের উদ্দেশ্য

আমাদের নীতি
Privacy Policy
Service Policy
Contact US